শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: চলতি মৌসুমে দিনাজপুর অঞ্চলে গাছের শাখায় শাখায় মুকুলের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন আশা করছেন বাগান মালিকরা। আর মুকুল পরিচর্যার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশার কারণে এবার দেরিতে আমের মুকুল আসলেও ফাল্গুনে প্রায় শতভাগ গাছেই মুকুল এসেছে। এখন গাছে গাছে শুধু মুকুল আর মুকুল। স্বর্ণালী মুকুলে মুখরিত দিনাজপুর অঞ্চল।
রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রের পাশাপাশি বাড়তি পরিচর্যার জন্য সেচ দিচ্ছেন বাগান মালিকরা। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর আমের বাগান বাড়ছে।
গোপাল ভোগ, মিশ্রীভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপতি, ফজলি,আম্রপালি,হাঁড়িভাঙ্গা, ছাতাপড়া,গুটি আমের এবার ভালো ফলন এবং লাভের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
বাগান মালিকরা বলেন, ‘আমের মুকুল এবার পর্যাপ্ত পরিমান আছে। গাছের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছি। দুর্যোগের কারণে অর্ধেক আমের মুকুল নষ্ট হয়ে গেলেও এবং অর্ধেক ফলন পেলে তাহলে অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি ফলন পাবো।’
অকালে মুকুল ঝরা ও অপরিপক্ক ফল পড়া থেকে যথাযথ টেকসই পরিচর্যার ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টিএমটি ইকবাল এবং দিনাজপুর হটিকালচার বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ।
দিনাজপুরে ১৩ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন।